শিরোনাম ::
কুতুবদিয়ায় নৌবাহিনীর অভিযানে বন্দুকসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার মহেশখালীর দুর্ধর্ষ জসিম ডাকাত কক্সবাজারে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার রামুতে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড পেকুয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে মা-মেয়েকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২ উখিয়ায় সৈয়দ নুর হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ আটক ৩, মোটরসাইকেল উদ্ধার উখিয়ায় চুরির উদ্দেশ্যে দোকানে প্রবেশ করতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু কক্সবাজার ও উখিয়ায় ইয়াবা বিরোধী ঝটিকা অভিযান: দুইজন আটক, ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি তৎপর রয়েছে- ঘুমধুমে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে ২৬ হাজার ইয়াবাসহ সিএনজি চালক আটক
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পলাতক যুদ্ধাপরাধী জলিল গাজী গ্রেপ্তার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩


ঢাকা, ২৩ জুন – একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ও দীর্ঘদিন ধরে পলাতক মো. আব্দুল জলিল গাজীকে (৭১) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আইনুছবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার র‍্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। জলিল অন্য রাজাকারদের সঙ্গে যোগসাজশে এলাকায় লুটপাট ও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাতেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর গ্রামে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আব্দুল জলিল গাজীসহ রাজাকারদের সহায়তায় ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং তার নেতৃত্বে রাজাকাররা গ্রামের সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানি আর্মিদের বাংকার, বন্দিশালা, টর্চারশেল তৈরির কাজে বাধ্য করতো।

মামলার বিষয়ে ফারজানা বলেন, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মহান মক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়। মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজিরা না দেয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরপরই আত্মগোপনের জন্য তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণখান থানাধীন আইনুছবাগ এলাকায় চলে আসেন।

গ্রেপ্তার এড়াতে জলিল গাজী নিয়মিত স্থান পরিবর্তন করে পলাতক জীবনযাপন করতে থাকে। এসময় পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অন্যের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। আত্মগোপনে থাকাকালীন তিনি ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রেখে ছদ্মনাম ব্যবহার করে নিজের পরিচয় দিতেন।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৩ জুন ২০২৩


আরো খবর: