নিজস্ব প্রতিবেদক::
আয়োজক কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের নির্বাচিত আটটি ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের প্রোমোশন পরিকল্পনার উপর এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর ব্র্যান্ডিং ও প্রচারণার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন খাতের উন্নয়ন সাধন করা।
২৩ জুলাই কক্সবাজারের শহরের হোটেল রামদা’র হল রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এনরুট ইন্টারন্যাশনালের এমডি এবং সিইও আবু দাউদ খান। তিনি বলেন, “এই কর্মশালাটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ এবং টেকসই করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার রুবাইয়া আফরোজ বলেন, “কক্সবাজারের সমুদ্র, পাহাড় ছাড়াও বৌদ্ধ বিহার, চা বাগান, রাবার বাগানসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় স্থান রয়েছে, যেখানে সম্মিলিতভাবে কাজ করা গেলে কক্সবাজারের পর্যটনে আশানুরূপ উন্নয়ন সম্ভব।”
তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটনমুখী বিভিন্ন পরিকল্পনা যেমন ভ্রমণিকা অ্যাপের কথা উল্লেখ করেন, যার মাধ্যমে পর্যটকরা তাদের বাজেট অনুযায়ী ভ্রমণ পরিকল্পনা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকেন। এছাড়া, তিনি স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলার অনুরোধ জানান।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি, মো. আপেল মাহমুদ বলেন, “কক্সবাজারের পর্যটন উন্নয়নে পর্যটন সম্পর্কিত সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে কক্সবাজারের রেল স্টেশন, রাস্তাঘাট এবং আন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট বাস্তবায়িত হয়েছে, যার ফলে পর্যটকরা সহজেই কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের সমসাময়িক কার্যক্রমে কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমেছে।” তিনি কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণে জোর দেওয়ার কথা বলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্র্যাফিক), মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরি কক্সবাজারে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের ডাটাবেজ না থাকার ফলে সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমাদের বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে যেন পর্যটকরা কক্সবাজারে নিরাপদ বোধ করেন।” এছাড়া তিনি হোটেল-মোটেল সমূহের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির গুরুত্বও উল্লেখ করেন।
আইএলও এর কক্সবাজার সাব অফিস হেড রুচিকা বহাল কক্সবাজারের পর্যটন উন্নয়নে আইএলও এর সমসাময়িক কার্যক্রম ও পরিকল্পনাসমূহ তুলে ধরেন।
এ কর্মশালাটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতের স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে একটি সমন্বিত এবং টেকসই পর্যটন প্রচারণা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, যা স্থানীয় সম্প্রদায় এবং পর্যটকদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কর্মশালা আয়োজক এনরুট ইন্টারন্যাশনালের অব্যবস্থাপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েকজন অংশগ্রহণকারী বলেন যেখানে একটা কর্মশালা আয়োজন করতে গিয়ে আয়োজক কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ, সেখানে এনরুট ইন্টারন্যাশনাল কক্সবাজারের পর্যটন উন্নয়নে প্রমোশনাল পরিকল্পনা ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে হয় না।
####