শিরোনাম ::
চকরিয়ায় শশুর বাড়িতে যাবার পথে অস্ত্রের মুখে আটকিয়ে সেনা সদস্য ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর, সর্বস্ব ছিনতাই চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পর্যটন উন্নয়নে প্রমোশনাল পরিকল্পনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত রামুতে ২৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে আটক ১ বাপের বাড়ি থেকে ফেরার একদিন পর চকরিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে উখিয়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের যুবদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রামুতে সমাজ পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ভূমিকা নিয়ে কর্মশালা রামুতে মামলা প্রক্রিয়া নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ চকরিয়ায় উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও নতুন সড়ক উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক পেকুয়ায় তিন যুগ পর স্থানীয়দের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে বন্দির স্ত্রীকে নিয়ে উধাও কারারক্ষী!

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী থাকা মাসুদ করিমের (৫০) সাথে দেখা করতে আসতেন তার স্ত্রী। যাওয়া আসার মধ্যে পরিচয় হয় কারাগারে কর্মরত কারারক্ষী বিয়াদের (২৬) সাথে। পরিচয় গড়ায় পরকীয়ায়। এরপর কারান্তরীণ স্বামী ও ঘরে অবুঝ দুই সন্তান রেখে কারারক্ষীর সঙ্গে পালিয়ে যান স্ত্রী। পরকীয়ায় জড়িয়ে পালানোর সময় নিয়ে গেছেন স্বামীর ঘরের সহায় সম্পদ।

ভুক্তভোগী মাসুদ করিম দীর্ঘদিন ধরে শহরের কালুর দোকান নামক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা ও করেন শহরেই। জানা যায়, তার পৈতৃক নিবাস বগুড়া।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. মাসুদ করিম (৫০) তার স্ত্রী রুপা বেগম (৩৫) এবং স্ত্রীর কথিত প্রেমিক মো. রিয়াদ (২৬)-এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে তিনি দাম্পত্য জীবন ধ্বংস, আর্থিক ক্ষতি এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হওয়ার বিষয় তুলে ধরেছেন।

ভুক্তভোগী মাসুদ করিম জানান, তিনি একটি চেক এর মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন। সেই সময় তিনি অসুস্থ হলে কারা হাসপাতালে থাকার জন্য ১২ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী কারাগারে যান। এরপর থেকে রুপা বেগম কারাগারে গিয়ে তাকে নগদ অর্থ দেওয়ার অজুহাতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে জেল সুপারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও কারারক্ষী মো. রিয়াদের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরিচয় এবং সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই পরিচয় একপর্যায়ে পরকীয়ায় রূপ নেয়।

মাসুদ করিম আরও অভিযোগ করেন, গত ৩০ আগস্ট রিয়াদ, রুপা বেগম এবং তাদের দুই সন্তান কক্সবাজারের একটি হোটেলে রাতযাপন করেন। তার বড় ছেলে পুরো বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে। পরে তিনি জানতে পারেন, তার ঘর থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, আনুমানিক দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং এক লাখ বিশ হাজার টাকার স্বর্ণালংকারসহ সব মালামাল লুট করে রুপা বেগম ও রিয়াদ পালিয়ে গেছেন।

মাসুদ করিম আরো জানান, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি স্ত্রীর সন্ধানে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রিয়াদের প্ররোচনায় রুপা বেগম তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা একে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অনেকেই মাসুদ করিমের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ ঘটনাটিকে অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার আবু মুছা বলেন, রিয়াদ নামের একজন কারারক্ষী কর্মরত আছেন। এমন ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের কাছে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেল সুপার মো. জাবেদ মেহেদী বলেন, ভুক্তভোগীর নাম-ঠিকানা পেলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো খবর: